ছবি: বাংলাবার্তা
শবে বরাত গুনাহ মাফের অনন্য মাধ্যম। শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। হাদিসের ভাষ্যমতে এই রাতকে লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রাত বলা হয়।
শবে বরাতের ফজিলত
মহান আল্লাহ পবিত্র শবে বরাতের রাতে তাঁর সৃষ্টিজীবের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু সালাবা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন অর্ধ শাবানের রাত আসে, তখন মহান আল্লাহ সৃষ্টজীবের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান; মুমিনদের ক্ষমা করে দেন, কাফিরদের ফিরে আসার সুযোগ দেন এবং হিংসুকদের হিংসা পরিত্যাগ ছাড়া ক্ষমা করেন না। (কিতাবুস সুন্নাহ, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮২)।
আরেক হাদিসে হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ অর্ধ শাবানের রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৫৬৬৫)।
আরও পড়ুন : শবে বরাতে নবীজি (সা.) যে আমল করতেন
শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম
শবে বরাতের নামাজের সুর্নিদিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। বরং অন্যান্য নফল নামাজের মতোই পড়বে। অনেক বইয়ে লেখা থাকে অমুক সুরা ৩বার পড়া, আয়াতুল কুরসি পড়া- এসব মনগড়া কথা। ইসলামি শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।
ইসলামি শরিয়তে যা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লাম বর্ণনা করেননি, সাহাবিরা পালন করেননি- এমন কোনো বিষয়ে ইবাদত বা নির্দিষ্ট করে আমল করলে তা বিদয়াতের অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ