ছবি: বাংলাবার্তা
অনুমতি ছাড়া অন্যের মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করা অনেকের নেশা । অনেককে দেখবেন, আপনার রুমে কোনো লোকজন আসছে, কোনো দোস্ত আসছে, পরিচিত কেউ আসছে, মোবাইল সেটটা হাতের কাছে পাইছে, নিয়াই টিপা শুরু। এমন করে কিনা বলেন?
অনুমতি ব্যতীত মানুষের মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করা আর কারো বাড়িতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা—দুটোই সমান কাজ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! নিজ ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না অনুমতি নাও এবং তার অধিবাসীদের সালাম দাও। এ পন্থাই তোমাদের জন্য উত্তম। হয়তো তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে। -সূরা নূর (২৪) : ২৭
আরও পড়ুন : শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কওমের ঘরে তাদের অনুমিত ব্যতিরেকে উকি-ঝুঁকি মারে, তাহলে তার চোখ ফুড়ে দেওয়া তাদের জন্য বৈধ’। [সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২১৫৮।]
অন্যত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোন ব্যক্তি যদি বিনা অনুমতিতে তোমার প্রতি উকি-ঝুঁকি মারে, আর তুমি তাকে কংকর মেরে তার চোখ ফুঁড়ে দাও, তাহ’লে তোমার কোন দোষ নেই’। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৮৮৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৫৮]
চোখ বাইর করা বলতে সত্যি সত্যি চোখ বের করা উদ্দেশ্য না। বিষয়টার ভয়াবহতা ও গুরুত্ব বুঝাতেই রাসুল সা. এমন বলেছেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, যদি কেউ কারো ঘরের ভিতরে উঁকি মারে তাহলে ঘরওলার অধিকার আছে ঐ ব্যক্তির চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেওয়া—এতো বড় অন্যায় এটা।
আপনি আমার মোবাইল টিপতেছেন ; অথচ হতে আমার মোবাইলে আমার স্ত্রীর সাথে অনেক চ্যাটিং হতে পারে, অনেক কনভারসেশন থাকতে পারে, অনেক মেসেজ থাকতে পারে, অনেক রকম কিছু থাকতে পারে, অনেক পার্সোনাল কিছু থাকতে পারে। আপনি চট করে চান্সে মোবাইল খোলা পেয়ে টিপা শুরু করে দিলেন, এটা আরেকটা অন্যায়। অনুমতি ছাড়া কারো মোবাইল ফোনে এমন টিপাটিপির অভ্যাস আছে না নেই?! এই বদঅভ্যাস, এই অসুস্থতা অনেক লোকের ভিতর আছে। এটা গোনাহের কাজ। আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব গোনাহ হতে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ