ছবি: বাংলাবার্তা
ইসলাম মানবতার মুক্তির একমাত্র শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের জীবনের সকল বিষয়ের সমাধান রয়েছে ইসলামে। কারও উপর ইসলামের বিধান চাপিয়ে দেয়া হয় না। বরং সুবিধা-অসুবিধার বিবেচনা করা হয়।
কয়েক শ্রেণীর মানুষের জন্য রমজানের রোযা না রেখে পরে রোযা রাখার সুযোগ আছে। যেমন-
মুসাফির : মুসাফিরের জন্য সফর অবস্থায় রোযা না রাখারও সুযোগ আছে। তবে বেশি কষ্ট না হলে রোযা রাখা উত্তম। আর অস্বাভাবিক কষ্ট হলে রোযা রাখা মাকরুহ। এ অবস্থায় রোযা না রেখে পরে কাজা করে নিবে।
সফর অবস্থায় কেউ রোযা রাখলে বিনা ওজরে তা ভাঙ্গা জায়েয নেই। ভেঙ্গে ফেললে গুনাহগার হবে। তবে কাফফারা দিতে হবে না, শুধু কাজা করতে হবে।
যে ব্যক্তি মুকীম অবস্থায় সাহরি খেয়ে সফর শুরু করেছে তার জন্য সফরের অজুহাতে রোযা ভাঙ্গা জায়েয নেই। ভাঙ্গলে গুনাহগার হবে তবে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
মুসাফির সফরের কারণে রোযা রাখেনি, কিন্তু দিন শেষ হওয়ার আগেই মুকিম হয়ে গেছে সে দিনের অবশিষ্ট সময় রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে আহার ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে আর পরবর্তী সময়ে এ রোযার কাজা করে নিবে।
রমজানের দিনে হায়েয নেফাস থেকে পবিত্র হলে অবশিষ্ট দিন রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক এবং পরবর্তী সময়ে এ দিনের রোযার কাজা করতে হবে।
আরও পড়ুন : অন্যের মোবাইল ঘাটাঘাটি সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?
অসুস্থ ব্যক্তি : রোযার কারণে যে রোগ বৃদ্ধি পায় বা আরোগ্য লাভে বিলম্ব হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে সে রোগে রোযা না রাখা জায়েয। উল্লেখ্য উক্ত আশঙ্কা যদি প্রবল হয় তবে তো কথা নেই নতুবা একজন অভিজ্ঞ দীনদার চিকিৎসকের মতামত জরুরি।
গর্ভবতী : রোযা রাখার কারণে গর্ভবতী মহিলার নিজের কিংবা সন্তানের প্রাণহানি বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির প্রবল আশঙ্কা হলে তার জন্য রোযা না রাখা জায়েয; পরে এ রোযা কাজা করে নেবে ।
দুগ্ধ দানকারিণী : দুগ্ধ দানকারিণী মা রোযা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ওই সন্তান অন্য কোনো খাবারে অভ্যস্ত না হয়, ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে সন্তানের মারাত্মক স্বাস্থ্য নিয়ে আশংকা হয় তাহলে এ অবস্থায় তার জন্য রোযা না রাখার অনুমতি আছে তবে পরে ওই রোযার কাজা করে নিবে।
উপর্যুক্ত সকল ক্ষেত্রেই উল্লিখিত ব্যক্তিগণকে রমজানের না রাখা রোযার পরবর্তী সময়ে কাজা করে নিতে হবে।
দুর্বল বৃদ্ধ ব্যক্তি : বার্ধক্যের কারণে রোযা রাখতে সক্ষম না হলে রোযা রাখবে না। এরূপ ব্যক্তির জন্য রোযার পরিবর্তে ফিদিয়া দেওয়ার নির্দেশ এসেছে।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ