ছবি: বাংলাবার্তা
তারাবি সালাত পবিত্র রমজানের সাথে সম্পর্কিত। তারাবি আরবি শব্দ। অর্থ বিশ্রাম করা। তারাবি বহু দীর্ঘায়িত একটি সালাত। প্রতি চার রাকআত শেষে যাতে একটু বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারে সেজন্য এর নামকরণ করা হয়েছে তারাবি।
নামাযের রুকনগুলো ধীরেসুস্থে আদায়ের পাশাপাশি বিশুদ্ধ উচ্চারণে স্পষ্টভাবে তেলাওয়াত করা আবশ্যক। কেরাত নামাযের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেকটি শব্দ সুন্দরভাবে ধীরে উচ্চারণ করতেন। তাড়াহুড়া করতেন না। কিন্তু আমাদের দেশে তারাবির নামাযে ক্ষিপ্র গতিতে তেলাওয়াত করা হয়; অনেক সময় শব্দের উচ্চারণও বোঝা যায় না। এভাবে তেলাওয়াত করলে নামায না হওয়ারই আশঙ্কা। নামাযের সঙ্গে বিদ্রপ করার নামান্তর। এভাবে খতম করার চেয়ে ছোট ছোট সূরা দিয়ে ধীরে ধীরে তেলাওয়াত করে নামায পড়াই উত্তম। এ নিকৃষ্ট কাজটি প্রায় মসজিদেই হতে দেখা যায়। এত্থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
একটি হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ أَسْوَأَ النَّاسِ سَرِقَةً الَّذِي يَسْرِقُ صَلَاتَهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَسْرِقُهَا قَالَ لَا يُتِمُّ رُكُوعَهَا وَلَا سُجُودَهَا
অর্থ : আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হচ্ছে যে তার নামায চুরি করে। সাহাবায়ে কেরাম আশ্চর্যান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, নামায কিভাবে চুরি করে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে পূর্ণ রুকু ও সেজদা করে না।
ফাতাওয়া আলমগিরিতে আছে, তেলাওয়াত ও ফরজ নামাযে তাড়াহুড়ো করা অপছন্দনীয়। সিরাজিয়াতেও এমনটি রয়েছে এবং যখনই ধীরস্থীরভাবে কুরআন পাঠ করা হয় তা উত্তম। কাজী খানের ফতোয়াতেও এটিই রয়েছে। আমাদের যুগে এটি সর্বোত্তম। এ পরিমাণ তেলাওয়াত করা যেন জামাত থেকে লোকেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ধীরস্থীরভাবে তারাবির সালাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ