ছবি: বাংলাবার্তা
সুরা ইখলাস মুখস্থ নেই এমন মুসলমান খুঁজে পাওয়া ভার। প্রতিটি মুসলমানের সুরা ইখলাস মুখস্থ। সুরা ইখলাস পাঠের অনন্য ফজিলত রয়েছে। একবার সুরা ইখলাস পাঠে পূর্ণ কুরআন পাঠের এক তৃতাংশ পাঠের সাওয়াব পাওয়া যায়।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সাহাবিকে একটি মুজাহিদ দলের প্রধান করে অভিযানে পাঠালেন। সালাতে তিনি যখন তাঁর সাথীদের নিয়ে ইমামতি করতেন, তখন ইখলাস সুরাটি দিয়ে সালাত শেষ করতেন। তারা যখন অভিযান থেকে ফিরে আসল তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে ব্যাপারটি আলোচনা করলেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাঁকেই জিজ্ঞেস করো কেন সে এ কাজটি করেছে? এরপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিলেন, এ সুরাটিতে আল্লাহ তাআলার গুণাবলী রয়েছে। এ জন্য সুরাটি পড়তে আমি ভালোবাসি। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ তাঁকে ভালোবাসেন।(সহিহ বুখারি, হাদিস ৭৩৭৫)
অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে, এই সুরার প্রতি তোমার মহব্বত তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৭৪)
আরও পড়ুন : মৃত অবস্থায়ও নারীর পর্দা
বিখ্যাত সাহাবি আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ কি কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়তে অপারগ হয়ে যাবে? সাহাবিগণ বললেন, এক তৃতীয়াংশ কিভাবে পড়বে? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সূরা ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮১৩)
প্রখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, (একদিন) নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সবাইকে লক্ষ্য করে) বললেন, তোমরা এক জায়গায় জমায়েত হও। কারণ আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমাদেরকে কুরআন মাজিদের এক তৃতীয়াংশ পড়ে শুনাব। সুতরাং যাদের জমায়েত হওয়ার তারা জমায়েত হলে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে আসলেন এবং “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ” সুরাটি পড়লেন। তারপর তিনি গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। তখন আমরা একে অপরকে বলতে থাকলাম, আমার মনে হয় আসমান থেকে কোন খবর এসেছে আর সে জন্যই তিনি ভিতরে প্রবেশ করেছেন। পরে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেরিয়ে এসে বললেন, আমি তোমাদের বলেছিলাম যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি তোমাদেরকে কুরআন মাজিদের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করে শোনাব। জেনে রাখো এটি (সুরা ইখলাস) কুরআন মাজিদের এক তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৮১২)
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র কুরআন শুদ্ধরূপে পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ