ছবি: বাংলাবার্তা
রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়তের অর্থ অন্তরের সংকল্প যেমন মনে মনে এভাবে সংকল্প করবে আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রাখার নিয়ত করলাম। নিয়তের জন্য অন্তরের সংকল্প যথেষ্ট মুখে বলা জরুরি নয়। রোজার উদ্দেশ্যে সাহরি খেলে সেটিও রোজার নিয়তের জন্য যথেষ্ট।
আজকে আমরা জানবো- রোজার নিয়ত সংক্রান্ত ৫টি মাসয়ালা :
১. আরবি নিয়ত জরুরি নয়, উত্তমও নয় আরবি নিয়তে পৃথক কোনো সওয়াবও নেই।
২. রমজানের রোজার নিয়ত রাতে করাই উত্তম তবে যাহাওয়াতুল কুবরা অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের ঠিক মধ্যবর্তী সময়ের আগে আগে নিয়ত করলেও রোজা হয়ে যাবে। এরচেয়ে বিলম্বে নিয়ত করলে সেই রোজা সহিহ হবে না।
আব্দুল করিম জাজারি বলেন কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল, তখন ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) বললেন, যে ব্যক্তি ইতিমধ্যে কিছু খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোজা রাখবে।
৩. পুরো রমজানের জন্য একত্রে নিয়ত করা যথেষ্ট নয় বরং প্রতিদিনের রোজার জন্য সেদিনই নিয়ত করতে হবে। কারণ প্রতিটি রোজা ভিন্ন ভিন্ন ইবাদত আর প্রতিটি আমলের জন্যই নিয়ত জরুরি। হাদিসে এসেছে সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
৪. রাতে রমজানের নিয়ত করার পরও সুবহে সাদিকের আগপর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী মিলন জায়েয; এতে নিয়তের কোনো ক্ষতি হবে না।
৫. রোজার নিয়ত করার আগেই যদি কেউ অজ্ঞান অথবা পাগল হয়ে যায় এবং নিয়তের শেষ সময় অর্থাৎ যাহওয়াতুল কুবরার আগে সুস্থ না হয়, তাহলে তার অনাহারে থাকা রোজা হিসেবে ধর্তব্য হবে না পরবর্তী সময়ে সুস্থ হওয়ার পরে রোজা কাজা করতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন ।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ