ছবি: বাংলাবার্তা
বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী পরস্পরকে পছন্দ-অপছন্দ করার অধিকার রয়েছে। এ অধিকার কেবল পাত্রের না, পাত্রীরও। উভয়ের অধিকার সমান। সামাজিক নিয়মে আমরা মনে করি, পছন্দ করার অধিকার কেবল পাত্রের। ব্যাপারটি মোটেও ঠিক নয়। ভবিষ্যৎ দাম্পত্যজীবন সুখের ও স্থায়ী হওয়ার জন্যে উভয়ের পছন্দ করার অধিকার আছে। পাত্রের পাত্রী পছন্দ না হলে বিয়ে প্রত্যাখ্যান করার অধিকার ও ক্ষমতা যেমন রয়েছে; একই ক্ষমতা নারীও সংরক্ষণ করে।
“হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে থাকাবস্থায় একলোক এসে সংবাদ দিলো যে, সে একজন আনসারি নারীকে বিয়ে করেছে (বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি তাকে দেখেছ? বলল, না। তিনি বললেন, যাও গিয়ে দেখো। আনসারদের চোখে একটু সমস্যা থাকে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ১৪২৪)
আরও পড়ুন : নবীজির সাহাবিগণ কেন সত্যের মাপকাঠি
নিচের হাদিসটি লক্ষ করা উচিত :“হযরত উকবা ইবনে আমের রা. হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন, তোমাকে অমুক নারীর সাথে বিয়ে দিতে চাই, তুমি সম্মত? বলল, হ্যাঁ। নারীকে বললেন, তোমাকে অমুকের সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছি, তুমি রাজি? বলল, হ্যাঁ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পরস্পরের বিয়ে করিয়ে দেন। কোনো মোহর নির্ধারণ করেননি; আর স্বামীও মোহর দেয়নি। এই সাহাবি হুদায়বিয়ার সন্ধিতে অংশগ্রহণ করেন। যারা হুদায়বিয়াতে গিয়েছিল তারা খায়বারে গনিমতের অংশ পেয়েছিলেন। তার মৃত্যুর সময় হলে বললেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অমুকের সাথে বিয়ে দেন; আমি তো কোনো মোহর নির্ধারণ করিনি এবং তাকে মোহর বাবদ কিছু দিতেও পারিনি। তোমরা সাক্ষী থাকো, আমার স্ত্রীকে খায়বারের সম্পত্তি মোহর বাবদ দিয়ে দিলাম। স্ত্রী ওই অংশ গ্রহণ করে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করল। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, উত্তম মোহর হলো যা পরিমাণে কম হয়।” (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি, হাদিস নং : ১৪৩৩২; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং : ২১১৭)
মহান আল্লাহ ইসলাম অনুযায়ী চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ