ছবি : সংগৃহীত
জুমআ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য প্রতি সপ্তাহে বয়ে আনে ‘ঈদআনন্দ’। দিনটিকে সপ্তাহের সেরা দিনের মর্যাদা দিয়েছেন মহান আল্লাহ-তাআলা। এই দিনের আমলের গুরুত্ব সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। তাই জুমআর দিনে বেশি বেশি আমল করা উচিৎ। নবীজি হযরত মোহাম্মদ (সা.) হাদিসে জুমআর ১৭টি করণীয় উল্লেখ করেন।
এগুলো হলো
- গোসল করা (বুখারির ৮৭৭ নং হাদিস)
- মিসওয়াক করা (ইবনে মাজাহর ১০৯৮ নং হাদিস)
- উত্তম পোশাক পরিধান করা (আবু দাউদের ৩৪৩ নং হাদিস)
- সুগন্ধি ব্যবহার করা (বুখারির ৮৮০ নং হাদিস)
- মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া (বুখারির ৯১০, ৮৮৩ নং হাদিস)
- কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা (বুখারির ৯১১ নং হাদিস)
- নামাজের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই নামাজ আদায় করা (আবু দাউদের ৮৬২ নং হাদিস)
- নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ নামাজের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা (বুখারির ৯৩০ নং হাদিস)
- গায়ে তেল বা লোশন জাতীয় হালাল কিছু ব্যবহার করা (বুখারির ৮৮৩ নং হাদিস)
- মসজিদে পায়ে হেঁটে যাওয়া (মুসলিমের ১৪০০ নং হাদিস)
- মসজিদে যাওয়ার পূর্বে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া এবং ধূমপান না করা (বুখারির ৮৫৩ নং হাদিস)
- ঘুমের ভাব হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করা (আবু দাউদের ১১১৯ নং হাদিস)
- ইমামের খুতবা দেয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা (আবু দাউদের ১১১০ নং হাদিস)
- খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা (আবু দাউদের ১১০৮ নং হাদিস)
- এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তেলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের নামাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদের ১৩৩২ নং হাদিস)
- ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা। তবে কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে চুপ করতে বা বারণ করতে বলাও অনর্থক কাজ।(আবু দাউদের ১১১২ নং হাদিস)
- বেশি বেশি দোয়া করা। (বুখারির ৯৩৫ নং হাদিস)
বাংলাবার্তা/এমআর