ছবি : সংগৃহীত
বিশাল জমায়েতসহ রাজধানীর কাকরাইলে মারকাজ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থীরা। নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরপরেই দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নামাজ শুরু করা হয়ে। আর নামাজ শেষ হয়ে যায় সাড়ে ১২টার দিকে। এরপর তারা কাকরাইল ছেড়ে চলে যান।
এর আগে আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থী পক্ষ মারকাজ মসজিদ ও মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। তারা মাওলানা জুবায়েরপন্থীদে তারিয়ে মারকাজ মসজিদের দখল নিতে মরিয়া।
ভোর থেকেই তাবলীগের দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে কাকরাইলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এদিন সকাল আটটার পরে মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা। এ সময় কয়েখ লাখ লোকের জমায়েত হয়।
মারকাজ মসজিদে সামনে থেকে বিচারপতির বাস ভবন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ভিআইপি রোডসহ আশপাশ এলাকায় সড়কে অবস্থান নেন সাদপন্থীরা।
প্রসঙ্গত, মাওলানা সাদ কান্ধলভির বেশকিছু বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর নানা অসন্তোষের সত্ত্বেও ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশে আসেন তিনি। তখন এ নিয়ে বাংলাদেশে নানা তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়। মাওলানা সাদকে কোনোভাবেই ইজতেমায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া যাবে না বলে দাবি জানান ওলামায়ে কেরাম। এসব দাবির মুখে ইজতেমায় অংশগ্রহণ না করেই কাকরাইল মসজিদ থেকে ভারতে চলে যান তিনি। এরপর থেকে তাকে আর বিশ্ব ইজতেমায় উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। যদিও প্রতিবার তাকে ইজতেমায় উপস্থিত করতে চেষ্টার কমতি রাখেন না তার অনুসারীরা। মাওলানা সাদকে ঘিরে বিরোধের কারণে ২০১৮ সাল থেকে আলাদাভাবে দুই পক্ষ তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা শুরু করে।
প্রায় এক শতাব্দি আগে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি (রাহ.)-এর মাধ্যমে প্রচলিত দাওয়াত তাবলীগের সঙ্গে পরিচয় হয় মুসলমানদের। মহান এ জামাতের মেহনতের মাধ্যমে বহু পথভোলা, অন্ধকার পথের যাত্রী আলোর পথে ফিরে আসে। দাওয়াত ও তাবলীগ মুসলিম ও অমুসলিম সব দেশে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমআর