
ফাইল ছবি
একজন ব্যক্তি কি অন্যের পক্ষ থেকে রোজা রাখতে পারেন? এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, বিশেষ করে যাদের স্বজনরা অসুস্থ বা বার্ধক্যের কারণে রোজা পালন করতে অক্ষম।
শরিয়তের দৃষ্টিকোণ
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজনের পরিবর্তে অন্যজন রোজা রাখতে পারে না। আবদুল্লাহ ইবন ওমর (রা.)-কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কেউ অন্যের পক্ষ থেকে রোজা রাখবে না এবং অন্যের পক্ষ থেকে নামাজ পড়বে না।” (মুআত্তা ইমাম মালেক, পৃষ্ঠা ৯৪)
তবে, যাদের জন্য রোজা রাখা অত্যন্ত কষ্টকর বা ভবিষ্যতে রোজা রাখার সম্ভাবনা নেই, তারা ফিদিয়া দিতে পারেন।
ফিদিয়া কী?
যারা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা বা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে অক্ষম, তারা প্রতিটি রোজার জন্য একজন দরিদ্রকে দুই বেলা খাবার প্রদান করতে পারেন অথবা তার সমপরিমাণ অর্থ দান করতে পারেন।
হজরত সায়ীদ ইবনে মুসায়্যিব (রহ.) বলেন—
"যারা রোজা রাখতে অক্ষম তারা এক মিসকিনকে খাবার প্রদান করবে।" (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস ৭৫৮৫)
ফিদিয়া দেওয়ার নিয়ম
✅ রমজানের শুরুতেই পুরো মাসের ফিদিয়া দেওয়া যায়।
✅ এক রোজার জন্য এক মিসকিনকে দুই বেলা খাবার দিতে হয়।
✅ ফিদিয়া কেবল তাদের জন্য, যারা ভবিষ্যতে রোজা রাখতে পারবে না।
যারা ফিদিয়া দিতে পারবেন না
-
গর্ভবতী নারী বা স্তন্যদানকারী মা (তাদের পরবর্তীতে কাজা করতে হবে)।
-
মুসাফির (ভ্রমণ শেষে কাজা করতে হবে)।
-
সাময়িক অসুস্থ ব্যক্তি (সুস্থ হলে কাজা করতে হবে)।
অন্যের হয়ে রোজা রাখা ইসলামে অনুমোদিত নয়। তবে, স্থায়ীভাবে রোজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তির জন্য ফিদিয়া একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প। এতে করে অসহায় ব্যক্তিরাও উপকৃত হন, আর ধর্মীয় বিধানও পালন হয়।
বাংলাবার্তা/এমএইচ