
সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাসে নানা প্রয়োজনে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হতে পারে। ইসলামী শরীয়তে সফরকারী বা ভ্রমণকারীকে মুসাফির বলা হয়। রোজার ক্ষেত্রে মুসাফিরের জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ বিধান।
মুসাফিরের রোজার বিধান
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সেই সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং কঠিন চান না।” (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)
এই আয়াত অনুযায়ী, মুসাফির চাইলে রোজা রাখতে পারেন, আবার চাইলে পরে কাজা করতে পারেন। তবে যদি রোজা রাখেন, তাহলে তা যথাযথভাবে গণ্য হবে। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪০৩)
এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলে রোজার হিসাব
যদি কেউ এক দেশে রোজা শুরু করে এবং পরে অন্য দেশে যায়, তাহলে সে নতুন দেশের রোজার সংখ্যা অনুসরণ করবে।
যদি সফরের কারণে রোজার সংখ্যা কম হয়, তাহলে বাকি রোজাগুলো রমজানের পরে কাজা করতে হবে। আর যদি রোজার সংখ্যা বেশি হয়ে যায়, তাহলে ওই দেশের নিয়ম মেনেই রোজা পালন করতে হবে।
ঈদের সময় হিসাব-নিকাশ
হাদিস অনুযায়ী, চান্দ্রমাস ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। যদি কেউ ২৭ বা ২৮টি রোজা রেখেই নতুন দেশে গিয়ে ঈদের চাঁদ দেখতে পান, তবে তিনি সেখানকার সঙ্গে ঈদ করবেন এবং বাকি রোজাগুলো পরে পূরণ করবেন।
আর যদি কেউ ৩০টি রোজা পূর্ণ করার পরও দেখতে পান যে নতুন দেশে এখনো রমজান চলছে, তবে তিনি সেখানকার মুসলমানদের সঙ্গে একত্রে রোজা রাখবেন এবং ঈদ উদযাপন করবেন।
রমজানে সফর করলে শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী রোজার বিধান মানতে হবে। নতুন দেশে গেলে স্থানীয় মুসলিমদের অনুসরণ করাই উত্তম, তবে রোজার সংখ্যা কম হলে পরে তা কাজা করে নেওয়া বাধ্যতামূলক। ইসলামের বিধান সহজ, তাই ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলাই সঠিক পন্থা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ