
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামে জাকাত সম্পদের মালিকের ওপর ফরজ করা হয়েছে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নির্ধারিত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক, তারই জাকাত আদায় করতে হবে। তাই স্ত্রীর জাকাত আদায়ের দায়িত্ব স্বয়ং স্ত্রীরই। তবে স্বামী চাইলে স্ত্রীর অনুমতিক্রমে তার জাকাত আদায় করে দিতে পারেন। এতে উভয়েই সওয়াবের অধিকারী হবেন।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যদি এগুলোর হক (জাকাত) আদায় না করে, তবে কিয়ামতের দিনে তার জন্য আগুনের পাত তৈরি করা হবে। এরপর জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে তা দিয়ে তার পার্শ্বে, ললাটে ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে। এই শাস্তি চলতে থাকবে, যার দিন হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান, যতক্ষণ না বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা হয়ে যাবে।’ (সহিহ মুসলিম ৯৮৭)
এই হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, জাকাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য।
যেহেতু ইসলামে সম্পদের মালিকানার ভিত্তিতে জাকাত নির্ধারিত হয়, তাই স্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পদের জাকাত আদায় করাও তারই দায়িত্ব। স্বামী এতে সরাসরি বাধ্য নন। তবে স্বামী যদি স্বেচ্ছায় স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে তার জাকাত আদায় করে দেন, তাহলে তা বৈধ হবে এবং এতে তিনি সওয়াবও লাভ করবেন।
সমাজে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, গৃহিণীরা তাদের সম্পদের হিসাব রাখতে পারেন না বা জাকাত সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন নন। এমন পরিস্থিতিতে স্বামী যদি সহানুভূতিশীল হয়ে স্ত্রীর জাকাতের হিসাব করে দেন এবং প্রয়োজনে তা আদায়েও সহায়তা করেন, তবে তা একটি মহৎ কাজ হবে। সামর্থ্যবান স্বামীর উচিত স্ত্রীর জাকাত সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য করা, যাতে ইসলামের বিধান যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয়।
স্ত্রীর জাকাত আদায় করা সম্পূর্ণ তার নিজের দায়িত্ব। স্বামী এতে বাধ্য না হলেও, স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি জাকাত আদায় করলে তা বৈধ হবে এবং তিনি সওয়াবের অধিকারী হবেন। ইসলামic বিধানের প্রতি যত্নশীল থেকে পারিবারিক জীবনে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে একে অপরকে সহযোগিতা করাই উত্তম।
বাংলাবার্তা/এমএইচ