
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের হজযাত্রীদের বহনকারী প্রথম ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। হজের প্রস্তুতি ও অগ্রগতি বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে। এরপর ২৯ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী হজ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে।”
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন ৫ হাজার ২০০ জন, যাদের জন্য মিনায় ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ, ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, হোটেল ও পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। হজযাত্রীদের সেবায় সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত বলে জানান তিনি।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সংখ্যা এবার অনেক বেশি। ড. খালিদ হোসেন বলেন, “এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। সৌদি সরকারের নীতিমালার কারণে ৭৫৩টি এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীরা ৭০টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মিনা ও আরাফার তাঁবু বরাদ্দ ও ক্যাটারিং চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সৌদি সরকার হোটেল ও পরিবহনের চুক্তির সময়সীমা ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে সতর্ক বার্তা দেয়, যা মেনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয় বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এবারও হজ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে মনিটরিং করছি, যাতে প্রতিটি হজযাত্রী শান্তিপূর্ণভাবে হজ পালন করতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও হজ ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনস। হজযাত্রীদের জন্য এবার বিভিন্ন পর্যায়ের সহযোগিতা ও তথ্য সহায়তার জন্য মোতায়েন থাকবে হজ মিশন, মেডিকেল টিম, এবং মনিটরিং স্কোয়াড।
বাংলাবার্তা/এমএইচ