
ছবি: সংগৃহীত
সুখ-শান্তির খোঁজে মানুষ সারাজীবন ছুটে চলে। কেউ অর্থের পেছনে, কেউ পদের জন্য, কেউ আবার বিলাসিতার মোহে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে—সবই একটাই লক্ষ্য নিয়ে: একটু শান্তি, একটু স্বস্তি। কিন্তু সত্যিই কি এসব জিনিসেই শান্তি রয়েছে?
আধুনিক মানুষের কাছে অর্থ, ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়িই যেন সাফল্যের একমাত্র মানদণ্ড। কারো জীবনে এগুলোর আধিক্য দেখলে আমরা ধরেই নিই—তিনি সফল। অথচ, পবিত্র কোরআন আমাদের শেখায় ভিন্ন এক সাফল্যের মানদণ্ড। সেখানে ঈমান ও নেক আমলকেই প্রকৃত সফলতার মাপকাঠি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন—
“আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন বস্তু নয়, যা তোমাদের আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে, তারাই তাদের আমলের বিনিময়ে পাবে বহুগুণ প্রতিদান। আর তারা (জান্নাতের) সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।”
(সুরা সাবা, আয়াত ৩৭)
এই আয়াতে স্পষ্ট বোঝানো হয়েছে, যে ধন-সম্পদ ঈমান ও নেক আমলের সাথে যুক্ত নয়, তা আল্লাহর কাছে কোনো মর্যাদা রাখে না। তাই শুধু ধনবান হলেই কেউ আল্লাহর প্রিয় হয়ে যায় না।
আসলে মানুষ যে শান্তির খোঁজে ছুটছে, সেই শান্তির মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ না চাইলে পৃথিবীর কোনো বস্তুই কাউকে শান্তি দিতে পারে না। তাই শান্তির জন্য একমাত্র পথ হলো আল্লাহর কাছে চাওয়া—আর তার অন্যতম উপায় হলো দোয়া।
এক্ষেত্রে কোরআনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পরীক্ষিত দোয়া রয়েছে, যা আমাদের জীবনে শান্তি, সফলতা ও পরকালীন মুক্তির দিশা দেখায়:
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ
وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
উচ্চারণ: রাব্বি হাব্ লি হুক্মাও ওয়া আলহিক্বনি বিস্সালিহীন, ওয়া জ্আল্ লি লিসান সিদ্কিন ফিল আখিরীন, ওয়া জ্আল্নি মিন ওয়ারাসাতি জান্নাতিন নাঈম।
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন, সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করুন, আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী করুন এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানান।
এই দোয়াটিতে রয়েছে চারটি অনন্য অনুরোধ—জ্ঞান, সৎ সঙ্গ, ভালো খ্যাতি এবং চিরস্থায়ী জান্নাত। এ দোয়া যারা নিয়মিত পাঠ করেন, তাদের জীবনে শান্তির ছোঁয়া অনুভূত হয়।
বাংলাবার্তা/এমএইচ