ছবি: বার্তাবাংলা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আস্পর শুরু হতে বাকি মোটের ওপর আর মাত্র ৭ দিন। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের দামামা বেজে গেলেও এখনও কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি বোর্ডের পক্ষ থেকে।
বরাবরের মতো এবারও লিগের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কিন্তু এখনও যেন কোনো রঙই লাগেনি এই ভেন্যুতে। মূল ভেন্যুরই যখন এই হাল, বাকি দুই ভেন্যুর অবস্থা কি হবে সেটি বুঝতে রকেট সায়েন্সের দরকার বোধহয় পড়বে না।
দর্শকদের বলা হয় দেশের ক্রিকেটের মূল স্টেকহোল্ডার। কিন্তু এই দর্শকদের জন্য মাঠে বসে ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য কতটুকু সুবিধা নিশ্চিত করেছে বিসিবি? চলুন সেটিই দেখে আসি।
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড। সরেজমিনে দেখা মিলল এক অদ্ভুত দৃশ্যের। দর্শকদের বসার জন্য এই গ্যালারিতে যে কয়টি আসন রয়েছে সবগুলোরই বেহাল দশা। ভাঙ্গাচোরা আসনগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এর ভেতর বেশ কয়েকটি আসনে নেই বসার জায়গাটুকু। পুরোটাই আসনই যেন হারিয়ে গেছে কালের অতল গহ্বরে অযত্ন আর অবহেলায়।
শুধু তাই নয়। বিপিএলকে সামনে রেখে এখনও দলগুলোর আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু না হলেও ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। কিন্তু এখনও সেই গ্যালারির এক প্রান্তে দেখা যায় মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের ধুয়ে দেওয়া কাপড় শুকাতে।
এতো গেল বসার আসনের ফিরিস্তি। এবারে আসা যাক শৌচালয়ের বিষয়ে। স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ শৌচালয় দেখে যে কারও মনে হতে পারে অনাদিকাল ধরে এগুলো পরিস্কার করা হয়ে উঠছে না।
খেলার আগে আর খেলার সময় এসব শৌচালয়ের পরিবেশ দেখে সেগুলো ব্যবহার করতে ইচ্ছা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না স্বাভাবিকভাবে। নেহায়েত বিপদে পড়লেই মানুষ সেগুলো ব্যবহার করে থাকে। দুর্গন্ধ সেসব শৌচালয় ছাড়িয়ে বেড়িয়ে আসে গ্যালারিতেও।
লম্বা সময় ধরে এমন ঘটনা ঘটতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও প্রতিবারই চোখে রীতিমতো কাঠের চশমা লাগিয়ে বসে থাকে। কবে হবে তাদের সুমতি সেই প্রশ্নটা তোলাই রইলো।
বার্তাবাংলা/এনএ