জিআই তারের কর ফাঁকি ছবি: বাংলাবার্তা
দেশের ছোট বড় জি আই তার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন>>গুলশান-বনানীতে ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয়ে প্রভাবশালীদের কর ফাঁকি
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর জানায়, দেশে প্রায় ছোট বড় ১০০টিও বেশি জিআই তার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আছে। এসব জি আই তার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ নামমাত্র ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করে। এই অতি সামান্য পরিশোধের আড়ালে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকার ভ্যাট ও ট্যাক্স ।
এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট একটি কারখানাও প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২ থেকে ৩ টন জি আই তার প্রস্তুত করে থাকে। আর বড় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টন তার উৎপাদন করে। এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো অধিকাংশ গড়ে উঠেছে ঢাকার শ্যামপুর, ফতুল্লা, কামরাঙ্গীরচর, পুরান ঢাকা, কেরানীগঞ্জ, রূপগঞ্জ এবং নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায়। এর বাহিরে দেশের বিভিন্ন স্থানেও এই ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। জি আই তারের বিভিন্ন আকার ভেদে দাম কম বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন>> ৩৫শ টাকা বেতনের চাকরি করে শত কোটি টাকার মালিক
অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে আসে, প্রতি টনের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাহলে প্রতি টনে ভ্যাট আনুমানিক ২১ হাজার টাকা আসে। একটি ছোট কারখানায় ভ্যাট প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে, একটি বড় কারখানায় প্রতিদিন ভ্যাট ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন>> বদলির পরেও বিএডিসির চেয়ার আঁকড়ে আব্দুস সামাদ!
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর আরও জানায়, এসব প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মোট ভ্যাটের ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ ভ্যাটও প্রদান করে না। এতে প্রতিষ্ঠানের মালিক বিপুল পরিমাণ আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে।
এর প্রেক্ষিতে সরকার প্রতি মাসে এই সব প্রতিষ্ঠান থেকে আনুমানিক মাসে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা এবং বছরে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
বাংলাবার্তা/এআর