ফটো কোলাজ: বাংলাবার্তা
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মচারী মো. ওসমান সিকদারকে খুনের রহস্যে জট অনেকটাই খুলে গেছে। ওসমানকে খুনের নেপথ্যে ছিল ‘হুন্ডি’। ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে বিরোধের জের গড়ায় হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত। এই খুনের জড়িত হিসেবে যাদের নাম উঠে এসেছে তা অবাক হওয়ার মতো। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রয়েছেন নিহতেরই দুই সহকর্মী।
আইনশুঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে ওসমানের দুই সহকর্মী স্বীকার করেছেন, তারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত। তবে এই হত্যাকাণ্ডে তারা সশরীরে অংশ নেননি। এই হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন অন্য ৪ জন।
ওসমান সিকদার চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মচারী। বাংলাদেশ পুলিশের অভ্যন্তরীণ একটি সংস্থার তদন্তে চাঞ্চ্যকর এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ওসমানসহ সিভিল এভিয়েশনের কয়েকজন কর্মচারী বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি ওসমানের সঙ্গে ফটিকছড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তির সাথে ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। কথা ছিল ওসমান রিয়ালগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাত্রীদের হাতে তুলে দেবেন। কিন্তু তিনি রিয়ালগুলো দেননি। তিনি জানান রিয়ালগুলো গোয়েন্দা পুলিশ নিয়ে গেছে।
সূত্র আরও জানায়, পরে রিয়ালগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য ওসমানকে চাপ দেয় প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে প্রতিপক্ষ। ওসমানকে মারধর করে রিয়াল উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়। এরই ধারবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শাহ আমানত বিমানবন্দর সংলগ্ন লিংকরোড এলাকায় তাকে মারধর করা হয়। এতে মোট ৫৪ জন নেন। মারধরের এক পর্যায়ে ওসমানের মৃত্যু হয়।
হাটহাজারী উপজেলায় ওসমানের বাড়ি। তিনি শাহ আমানত বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশনে অফিস সহকারী ছিলেন।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনায় গতকালই (বৃহস্পতিবার) ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হুন্ডির ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ওসমান সিকদার।
বাংলাবার্তা/এমআর