ছবি : সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গায় মেসার্স বঙ্গ পিভিসি পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচ কোটি ২৮ লাখ টাকা মূসক (ভ্যাট) ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করেছে যশোর ভ্যাট কমিশনারেট। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ০৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার আলোকদিয়ার দৌলতদিয়া এলায় অভিযান চালিয়ে এই ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করা হয়।
এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর অভিযানটি পরিচালনা করে। এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযানকালে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে মূসক-১২.৩ এর মাধ্যমে স্বাক্ষরিত সেলস রিপোর্ট, বিদ্যুৎ বিল, একাউন্ট রিসিভেবল শীট, রেজিস্টার খাতা, ফিজিক্যাল স্টক, মূসক ৬.৩ এবং কম্পিউটার সিপিইউ প্রভৃতি জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সঠিক করদায়িতা নিরূপণের লক্ষ্যে জব্দকৃত দলিলাদি যথাযথভাবে পর্যালোচনা করা হয়।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ২০২৩ সালের জুন হতে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত কর মেয়াদে আইভাস সিস্টেমে (ভ্যাট অনলাইন সিস্টেম) জমাকৃত জমাপত্রে (মূসক-৯.১) প্রদর্শিত মোট বিক্রয়মূল্য ২ কোটি ৯০ লাখ ১৭ হাজা ৮৭৪ টাকা। অপরপক্ষে অভিযানকালে মূসক ১২.৩ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দকৃত বিক্রয়তথ্য মোতাবেক মোট বিক্রয়মূল্য ৪৪ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮৩ টাকা উল্লেখ থাকলেও মাসভিত্তিক বিক্রয়মূল্যের যোগফল পাওয়া যায় ৪৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮৩ টাকা। যা প্রতিষ্ঠানের উক্ত সময়ের প্রকৃত বিক্রয়মূল্য।
উক্ত বিক্রয়মূল্য ৪৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮৩ টাকাকে ভিত্তি ধরে পরবর্তীতে হিসাবায়ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ২০২৩ সালের জুন হতে ২০২৪ সালের মে করমেয়াদ পর্যন্ত সময়ে দাখিলপত্র (মূসক-৯.১) প্রদর্শিত বিক্রয়মূল্য ২,৯০,১৭,৮৭৪ টাকা। অর্থাৎ বর্ণিত সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূসক-৯.১ এ (৪৩,৩৯,৬৭,৯৮৩-২,৯০,১৭,৮৭৪) = ৪০,৪৯,৫০,১০৯ টাকা বিক্রয়মূল্য কম প্রদর্শন করা হয়েছে।
উক্ত অপ্রদর্শিত বিক্রয়মূল্যের মূসক আরোপযোগ্য মূল্য (৪০,৪৯,৫০,১০৯-৪০,৪৯,৫০,১০৯x১৫/১১৫) = ৩৫,২১,৩০,৫৩০ টাকা। মূসক আরোপযোগ্য মূল্যের বিপরীতে পরিহারকৃত মূসকের পরিমাণ (৩৫,২১,৩০,৫৩০x১৫%) = ৫,২৮,১৯,৫৭৯ (পাঁচ কোটি আটাশ লক্ষ ঊনিশ হাজার পাঁচশত ঊনআশি) টাকা যা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে আদায়যোগ্য।
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ৭৩ মোতাবেক ওই প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৫ কোটি ২৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৭৯ টাকা রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন হয়েছে। যা সরকারের অনুকূলে আদায়যোগ্য।
যশোর ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল হাসান বাংলাবার্তাকে বলেন, কমিশনারের নিকট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটিতে পরিদর্শনে যাওয়া হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটিতে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া যায়। দলিলাদির প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা করা হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমআর