ছবি সংগৃহীত
পঞ্চমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে আসা নেদারল্যান্ডসের রেকর্ড ঘাঁটলে উঠে আসবে টিম ডি লিডির নাম। তিনি যে দেশটির হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। টিমের বয়স এখন ৫৫ বছর। তবে না থেকেও এবারের বিশ্বকাপে আছেন লিডি। ডাচদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন বাস ডি লিডি।
আপনি হয়তো ‘লিডি’ নামের মিল দেখে ভাবছেন এদের মধ্যে সম্পর্কটা কী। টিম ডি লিডি হলো বাস ডি লিডির বাবা। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলেছিল নেদারল্যান্ডস। দলে ছিলেন টিম ডি লিডি। এবার ছেলের খেলা দেখবেন ভারতের মাটিতে। টিম খেলেছেন ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপও।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাবা-ছেলে খেলেছে এমন ঘটনা সপ্তমবারের মতো হবে আজ বাস ডি লিডি মাঠে নামলে। বিশ্বকাপে খেলা বাকি বাবা-ছেলেরা হলেন, ডন ও ডেরেক প্রিঙ্গেল, লান্স ও ক্রিস কেয়ার্নস, ক্রিস ও স্টুয়ার্ট ব্রড, জিওফ মার্শ এবং মিচেল ও শন মার্শ। রড ও টম ল্যাথাম এবং কেভিন ও স্যাম কারেন।
বাস ডি লিডি এ নিয়ে বলেন, ‘এটি বিশেষ কিছু। তবে আমার বাবা যা করেছে তাই করতে হবে এমন লক্ষ্য স্থির করিনি। বিশ্বকাপে নিজের দেশের হয়ে খেলতে পারাটা আমার জন্য গর্বের। আমার বাবাও বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলেছেন। তার সময়কার (বিশ্বকাপ) গল্প শুনতে পারাটাও দারুণ।’
অলরাউন্ডার টিম ডি লিডি বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ১৪ উইকেট। ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। এটি টিমের সেরা বোলিংও। ছেলে বাস ডি লিডিও ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
তার পারফরম্যান্সে নজর রাখেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে টিম বলেন, ‘যখন নেদারল্যান্ডস নিউজিল্যান্ডে খেলতে গিয়েছিল আমি দেখেছি সোধিকে বাস তেমন আক্রমণই করছে না। আমি তখন তাকে বলেছিলাম তুমি ব্যাটিং ক্রিজের বাইরে থেকে আক্রমণ করো।’
তার কথা শুনে পরের ম্যাচে ভালো রানও পেয়েছিল বাস ডি লিডি।
এবারের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের যোগ্যতা অর্জনের পেছনে বড় ভূমিকা আছে বাস ডি লিডির। জিম্বাবুয়েতে হওয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মাস্ট উইন ম্যাচে দারুণ খেলেন বাস ডি লিডি।