সংগৃহীত ছবি
ভারতের বিপক্ষে ৩০২ রানের বিশাল হারের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী। কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি। বোর্ড পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
শ্রীলঙ্কা সরকারের হস্তক্ষেপের ঘটনার পর শুক্রবার জরুরি সভা আহ্বান করে আইসিসি বোর্ড। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে বোর্ড ঐকমত্যে পৌঁছায় যে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে, বিশেষ করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে।
১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া দেশটিকে বহিষ্কারাদেশ নিয়ে আইসিসি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময় মতো এই বহিষ্কারাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।’
ভারতের কাছে ৫৫ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করেন। এরপর পুরো বোর্ডকে বরখাস্ত করেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রনসিংহে। দুর্নীতির অভিযোগে কয়েক মাস ধরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট রনসিংহের চোখের বিষ হয়ে উঠেছিল। গত সোমবার তার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আগের কমিটিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রনসিংহে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করেছেন।’ নতুন অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ডের সভাপতি করা হয়েছিল ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। পরে এই কমিটি ভেঙে দিয়ে আগের প্রশাসনকে ১৪ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের শর্তে ফেরানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স তলানিতে। পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে থাকার কারণে ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগও খুইয়েছে শ্রীলঙ্কা। নিয়ম অনুযায়ী স্বাগতিক দলসহ বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে। নতুন করে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় বড় ধাক্কা খেলো দেশটির ক্রিকেট!
প্রসঙ্গত, আইসিসি এর আগেও নানা সময় দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়ার মতো দলগুলোকে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আইসিসির নির্ধারিত শর্ত পূরণ করার পর পুরোনো সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারও করে নিয়েছিল। শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া স্থগিতাদেশের শর্তগুলো ঠিকঠাক পূরণ করতে পারলে আইসিসি তাদের দেওয়া সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারও করে নেবে।