ফাইল ছবি
প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে রঙ্গিন পোশাকে কিউই বধের স্বাদ। টাইগারদের জন্য এটি স্বাভাবিকভাবেই যেন স্বর্গের অমৃত। ২২ বছরের জয় খরা কাটিয়ে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারের সুবাদে অর্জিত হয়েছে সেই স্বর্গীয় অনুভূতি।
যখনই আসে ঐতিহাসিক সেই জয়ের কথা, তখনই অকপটেই সামনে চলে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কেননা জাতীয় দলের আর কোনো অধিনায়কের দ্বারা যেই অসাধ্য সাধন দুই দশকেও সম্ভব হয়নি সেটি শান্ত করে দেখিয়েছেন মাত্র দু বছরেই। কিউইদের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়েও ভূমিকা ছিল তার।
শান্ত প্রশংসিত হয়েছেন তার অধিনায়কত্বের বলে, প্রশংসিত হয়েছেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। আর সে কারণেই নিউজিল্যান্ড সিরিজ সেশে হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে শান্তকে পুরো বাংলাদেশ দলের বড় প্রাপ্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।
লঙ্কান এই কোচ বলেছিলেন, ‘এ সিরিজে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে শান্তর অধিনায়কত্ব। সে দারুণ করেছে। কৌশলগত দিক থেকে পুরোপুরি ঠিক ছিল। ক্রিকেটারদের প্রতি যথেষ্ট সচেতন ছিল। তাদের কাছ থেকে চাওয়ার ব্যাপারেও সে স্পষ্ট থেকেছে। কী চায়, তা পরিষ্কার করেছে। নিজেও পারফর্ম করেছে।’
দেশে ফেরার পর হাথুরুর সুরেই গলা মেলালেন জাতীয় দলের পেসার শরিফুল ইসলামও। শান্তর অধিনায়কত্ব পুরো খেলাটাকে সহজ করে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শরিফুল বলেন, ‘শান্ত আমাদের সবাইকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। আমরা মাঠে বন্ধুর মতো খেলতে পেরেছি। তার অধিনায়কত্ব আমাদের খেলাটাকে সহজ করে দিয়েছে। সবাই খুব ভালো করেছে।’
বাংলাবার্তা/এনএ