শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। ফাইল ছবি
কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ডেমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটকে। প্রচন্ড পরিমাণে বাজে রকমের হওয়ায় আইসিসি এই ডেমেরিট পয়েন্ট দেয় হোম অব ক্রিকেটের উইকেটকে।
এই বাজে উইকেটে খেলে দেশের ক্রিকেটাররা বৈশ্বিক আসরগুলোতে প্রতিপক্ষের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন, এমনটাই মনে করেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। বারবার উইকেটের বিষয়টি সামনে আসার পরও সে বিষয়ে নির্বিকার ভূমিকায় থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দরজার কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। বরাবরের মতো এবারকার আসরেও বেশিরভাগ ম্যাচ খেলা হবে শের-ই-বাংলার ধানক্ষেতে। তবে টুর্নামেন্টের দশম আসরকে সামনে রেখে শের-ই-বাংলা থেকে ধানক্ষেত সরানোর পরিকল্পনার ছক আঁকছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি।
এবারের বিপিএলে আইসিসির ইভেন্টের মতো স্পোর্টিং উইকেট বানাতে চায় বিসিবি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনার ছক কষছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা। আমরা চাইব যেন এখানে প্রচুর রান হয়। তবে অবশ্যই ব্যাটারদেরও দক্ষতা থাকতে হবে, দক্ষতা থাকতে হবে বোলারদেরও। আমরা আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে যে ধরনের উইকেট আইসিসি আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে তৈরি করার চেষ্টা করে, আমরা সেরকমই বানানোর চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়ার বিষয়টাও দেখতে হবে। এখন যেরকম কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ চলছে, তাতে হয়তো শুরুতে আমরা কিছু সমস্যার মুখোমুখি হব। ভালো উইকেটের প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের, আগামী বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল রেখে একটা উইকেটই বানানোর কথা ওদের বলা হয়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যান যারা খেলবে, তারা যেন বিশ্বকাপের জন্য একটা প্রস্তুতি হিসেবে এটাকে ব্যবহার করতে পারে।’
আর এই স্পোর্টিং হোম অব ক্রিকেটের কিউরেটর গামিডি ডি সিলভার ওপরই ভরসা রাখছেন বোর্ডের এই পরিচালক।
মাহাবুব আনাম বলেন, ‘গত বিপিএলেও আমরা ভালো উইকেট পেয়েছি। এবং বেশ রান হয়েছিল। আমি মনে করি যে এটা এবারও করা সম্ভব। আমাদের কিউরেটর দলের যে দক্ষতা রয়েছে, তাদের দিয়েই ভালো উইকেট দিতে পারবো বলে আশা করছি।’
বার্তাবাংলা/এনএ