বিপিএল। ছবি : সংগৃহীত
কাগজ-কলমের হিসাবটা বলছে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এখন পর্যন্ত হওয়া টুর্নামেন্টের ৯ আসরের ভেতর সর্বাধীক ৪ বারই শিরোপা ঘরে তুলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আসন্ন দশম আসরেও তারা যে ফেভারিট তাতে খুব একটা সন্দেহ থাকার কথা না।
কিন্তু টুর্নামেন্টের চলতি বছরের আসর শুরুর দুদিন আগে হুট করেই আগামী আসর থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্ত্বাধীকারী নাফিসা কামাল। বিপিএলের মুনাফা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ভাগাভাগি না হলে একাদশতম আসরে তার দল নাও থাকতে বলে জানান তিনি।
নাফিসা বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা শতভাগ সত্য। রাজস্ব ভাগাভাগি না হলে আমরা আগামী বিপিএলে থাকবো না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস ও মিডিয়া রাইটসের একটা অংশ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগামী বছর বিপিএল করব কি না নিশ্চিত নই। এখন যেভাবে হচ্ছে, এভাবে হলে আমার মনে হয় না আমার পক্ষে দল করা সম্ভব হবে। এ বছর একটা মিটিং করতে চেয়েছিলাম (বিসিবির সঙ্গে)। গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও প্রেস কনফারেন্সে আমি এটাই অনুরোধ করেছিলাম—একটা মিটিং। মিটিং হলে রংপুরের মালিকপক্ষও বসবে। চট্টগ্রাম, ঢাকা—সবাই বসবে। সবাইকে সমান সম্মান দেওয়া উচিত। তারা সবাই কমবেশি বিনিয়োগ করছে। সবাইকে সম্মান দেওয়া উচিত।’
এদিকে নাফিসার দাবীর সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড়িয়ে নিজেদের আগের সিদ্ধান্তেই অটল বিসিবি। ২০২২ সালে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের নেওয়া রাজস্ব ভাগাভাগি হবে না, সেই সিদ্ধান্তই বহাল রাখার কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন।
সুজন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা একটি টেকসই বিপিএল করতে চাচ্ছি। সেটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নয়, এটা সব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্যও। যে সমস্ত লভ্যাংশ ভাগের মডেলকে উদাহরণ হিসেবে আনা হচ্ছে, সেই লীগগুলোতে কিন্তু ফ্যাঞ্চাইজি ফিস বলেন বা অন্যান্য আর্থিক কাঠামো অনেক উপরে। তারা যে মডেলে করছে আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না আর সেটা আমাদের জন্য টেকসই হবে না ফ্যাঞ্চাইজি ফি’সহ আর্থিক দিক বিবেচনায়। সেক্ষেত্রে এটা তুলনা যোগ্য নয়। আমরা আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী এটা করি। এ বিষয়ে লভ্যাংশ ভাগে বোর্ডের আগে যে অবস্থান ছিল এখনও সেটাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ভাগের যে মডেল, আমরা ওভাবে যাচ্ছি না, চিন্তাও করতে পারছি না বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য বিষয়টা সামলানো কঠিন হবে। আমার মনে হয় আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলাদা করে বসলে তাদের বোঝাতে সক্ষম হব যে, আমরা কি মডেল করছি আর অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলো কি মডেলে হচ্ছে। এটা হলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারবে।’
বাংলাবার্তা/এআর/এনএ