ফাইল ছবি
গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের সাগরে হাবুডুবু খেতে খেতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের চোখে সর্ষে ফুল দেখার কারণ বের করতে বিশ্বকাপের পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক বিশ্বকাপ শেষ হয়ে আরেক বিশ্বকাপের সময় প্রায় চলে এলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হয়নি তদন্ত কমিটির পক্ষে।
বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থতার কারণ উদঘাটন করে সেটির প্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল তদন্ত কমিটির। কিন্তু গত নভেম্বর থেকে কাজ শুরু করা এনায়েত হোসেন সিরাজের সেই কমিটি দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রস্তুত করতে পারেনি সেই প্রতিবেদন।
প্রস্তুত তো দূরের কথা এখনও স্কোয়াডে থাকা সকলের সঙ্গে আলোচনাই শেষ করতে পারেনি কমিটির সদস্যরা। দুই মাসেও শেষ হয়নি তাদের কথা বলার আনুষ্ঠানিকতা।
তবে দুই মাস পর আশার বাণী শুনিয়েছেন কমিটির তদন্ত কর্মকর্তা আকরাম খান। খুব শীঘ্রই প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে দিয়েছেন নতুন আশ্বাস।
আকরাম বলেন, ‘৯০ ভাগ কাজ মাসখানেক আগেই হয়ে গেছে। এরপর নিউজিল্যান্ড সফর ছিল, এখন বিপিএল চলছে। ২-১ জনের সাথে এখনও বসতে পারিনি। নির্বাচন নিয়ে অধিনায়কও ব্যস্ত ছিল। তাদের সঙ্গে বসে মোটামুটি রিপোর্ট দিয়ে দেবো। বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক। এরপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বোর্ডকে দিয়ে দেবো। সাকিব ছাড়াও আরও ২-১ জন বাকি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শুধু বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স এনালাইসিস করতে দিয়েছে। কোনটা পজিটিভ, কোনটা নেগেটিভ। সেটাই আমরা দেবো। যেসব নেতিবাচক দিল ছিল তা যেন ভবিষ্যতে না হয়। ইতিবাচক দিকগুলোও বলব। এরপর বোর্ড সিদ্ধান্ত দেবে কীভাবে আমরা এগোবো।’
এর আগে ২০২১ সালের বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জের ধরেও দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বোর্ড। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন এনায়েত হোসেন সিরাজ। সদস্য ছিলেন মোহাম্মদ জালাল ইউনূস। কিন্তু তিন বছর হয়ে গেলেও সেই প্রতিবেদন এখনও দেখেনি আলোর মুখ।
বার্তাবাংলা/এনএ