ফাইল ছবি
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে বিশ্বজয় করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বজয়ের পরের বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের যুবাদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাব্যঞ্জক। তবে সেই টুর্নামেন্টের হতাশা কাটিয়ে উঠতে সেই বিশ্বকাপ জয়ের ভেন্যুতে ফের আরও একবার শিরোপা ঘরে তোলার আশায় লড়ছে বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টের সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের এই পর্বে টাইগার যুবাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলবে নেপাল ও পাকিস্তান। সেমিফাইনাল নিশ্চিতে এই দুই দলের বিপক্ষে জয় ভিন্ন পথ খোলা নেই লাল সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে।
আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী সুপার সিক্সের ম্যাচগুলো হবে গ্রুপিং সিস্টেমে। 'এ' গ্রুপের সেরা তিন দল খেলবে 'ডি' গ্রুপের সেরা তিন দলের বিপক্ষে। আর 'বি' গ্রুপের সেরা তিন দল খেলবে ও 'সি' গ্রুপের সেরা তিন দলের বিপক্ষে।
তবে এখানে কথা রয়েছে। একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে ঠিক আছে, কিন্তু সেই খেলাগুলো হবে না সমপর্যায়ের দলগুলোর বিপক্ষে। সহজ করে বলতে 'এ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারত খেলবে না 'ডি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সেই মোতাবেক গ্রুপ রানার আপ বাংলাদেশকে খেলতে হবে না 'ডি' গ্রুপের রানার আপ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বরং টাইগাররা খেলবে সেই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও তিনে থাকা নেপালের বিপক্ষে।
প্রথম পর্বের এক ম্যাচের পয়েন্ট বাদ দিয়ে বাকি পয়েন্ট যোগ হবে সুপার সিক্স পর্বে প্রাপ্ত পয়েন্টের সঙ্গে। এরপর টেবিলের সেরা দুই দল পাবে সেমিফাইনালের টিকিট।
তবে শুধু জয় পেলেই যে সেমি নিশ্চিত হবে তেমনটাও কিন্তু নয়। বাংলাদেশের সেমির সম্ভাবনা টিকে রয়েছে এক জটিল সমীকরণে। সেটি হলো পয়েন্ট টেবিলের জটিলতা।
প্রথম পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে ইতোমধ্যেই ২ পয়েন্ট পিছিয়ে বাংলাদেশ। এই পর্বে তাই পাকিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে জয় তো বাধ্যতামূলকই বাংলাদেশের জন্য, সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে জয়টা যেন হয় বিশাল ব্যবধানে। যত বড় ব্যবধানে জয়, ততই ভালো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য।
একইসঙ্গে বাংলাদেশকে প্রার্থনা করতে হবে যেন অন্তত একটি ম্যাচে যেন ভারত আর পাকিস্তান হারে। তাও বড় ব্যবধানে। শুধুমাত্র তাতেই সেমির রাস্তাটা সহজ হবে বাংলাদেশের জন্য।
বার্তাবাংলা/এনএ