ছবি: সংগৃহীত
২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। বার্সেলোনার জুনিয়র দলের ট্রায়ালে নিজের ফুটবলীয় দক্ষতা দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ক্ষুদে এক কিশোর। ক্ষুদে সেই কিশোরের ক্যারিশম্যাটিক ফুটবলে এতোটাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিলেন যে তৎকালীন বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস সেই কিশোর আর তার পরিবারকে এক রেস্তোরায় রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানান।
সেখানে সেই কিশোরের সঙ্গে জুনিয়র বার্সা দলের জন্য চুক্তিটাও সম্পন্ন করেন রেক্সাস। সেই কিশোর আর কেউ নন। তিনি আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। এরপরের রূপকথার গল্পের রাজপুত্রের উত্থানের ইতিহাসটা প্রায় সকলেরই জানা।
মেসির সঙ্গে সে সময় রেক্সাস চুক্তি সম্পন্ন করেছিলেন রেস্তোরার একটি হাত মোছার ন্যাপকিনে। প্রায় ২৪ বছর পর সেই ঐতিহাসিক ন্যাপকিনটি উঠতে যাচ্ছে নিলামে।
ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিনটি সযত্নে রাখা ছিল মেসির তৎকালীন স্থানীয় অভিভাবক হোরাসিয়ো গ্যাগিয়োলির কাছে। সেই ন্যাপকিনে মেসি ছাড়াও স্বাক্ষর রয়েছে বার্সার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস ও মেসির আবিষ্কর্তা হিসাবে পরিচিত জোসেফ মারিয়া মিগুয়েলার।
সেই চুক্তিপত্রে লেখা ছিল, ‘১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’
গ্যাগিয়োলির কাছ থকে সেই ন্যাপকিনটি নিয়ে রাখা হয়েছিল বার্সেলোনার জাদুঘরে। লম্বা সময় পর হুট করেই সেটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতালান ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ। সেটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে তিন লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান দাঁড়ায় প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকাতে।