ফাইল ছবি
নিম্নমানের জন্য বিশ্বের কাছে বহুল পরিচিত বাংলাদেশের উইকেট। শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের উইকেটকে তো নিম্নমানের জন্য আইসিসির ডেমেরিট পয়েন্ট পেতে হয়েছে। বাকি দুটো যেই ভেন্যুতে নিয়মিত খেলা হয় (চট্টগ্রাম ও সিলেট) সেগুলোর অবস্থাও খুব একটা ভালো সেটি বলারা কোনো উপায় নেই।
চলতি আসরে ১৮০ এর বেশি রান হয়েছে কেবল পাঁচবার। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রান হয়েছে ১৯৩, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ১৮৭ খুলনা টাইগার্সের। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮৩ রান আসে ফরচুন বরিশালের সুবাদে।
বাকি ম্যাচগুলোর স্কোর আটকে ছিল ১৪০-১৫৫ এর ঘরে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে অন্য দেশগুলোর উইকেটে রান হয় ২০০ এর বেশি সেখানে বাংলাদেশের উইকেটে রান তুলতেই খাবি খাচ্ছেন বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ কাপিয়ে আসা ক্রিকেটাররা।
ঢাকার উইকেটের কথা তো বাদই। সিলেটের উইকেটকে ব্যাটিংয়ের অনুপযোগী হিসেবে মনে করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ক্রিকেটার সামিত প্যাটেল।
প্যাটেল বলেন, ‘এই কন্ডিশন ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন। আমি জানি আমরা যেই ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছি তা সঠিক নয়। এমন কন্ডিশনে বা পিচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযোগী নয়। যদি আপনি চার-ছক্কা দেখতে চান তাহলে এভাবে হবে না। এটা বিপিএলের জন্য ভালো নয়। এমন কন্ডিশনেই আমাদের খেলতে হবে আসলে।’
একই মত রংপুর রাইডার্সের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানেরও। সাকিব বলেন, ‘বিপিএল কঠিন এক প্রতিযোগিতা। এবারের বিপিএলের পিচগুলোও আইডিয়াল না। গতবারের পিচ এবং কন্ডিশন আমার কাছে মনে হয় দুইটাই ভালো ছিল, অনেক রান হচ্ছিল, যেটা এবার হচ্ছে না।’
বাংলাবার্তা/এনএ