বিপিএলের ট্রফির সাথে সাত দলের অধিনায়কের ফটসেশন। ছবি: বিসিবি
বিশ্বের নামিদামি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে যেখানে ব্যাটারদের দেখা যায় রানের ফুলঝুড়ি ছোটাতে ব্যস্ত সেখানে ঠিক ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বেলায়। এখানে এসে ক্রিকেটারদের ব্যস্ত থাকতে হয় উইকেটে টিকে থাকতে। বাজে উইকেটের জন্য এই লিগে ক্রিজে টিকে থাকাই যেন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
ব্যাটারদের উইকেটে ধুকতে থাকার প্রমাণ মেলে বিপিএলের ২৩ ম্যাচে সাত দলের ব্যাটারদের ডট দেওয়ার পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে।
শুরুতে আসা যাক দুর্দান্ত ঢাকায়। এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডট বল খেলেছেন ঢাকার ব্যাটাররা। ছয় ম্যাচে তারা ৪৬.৬০ শতাংশ বলে নিতে পারেন নি কোনো রান। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫৭ বল ডট দেওয়ার নজির তারা দেখিয়েছে চলতি আসরে।
শতাংশের হিসাবে দুইয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সাত ম্যাচে তাদের ডট দেওয়ার পরিমাণ ৪৩.৯৯ শতাংশ। এক ম্যাচে তারা সর্বোচ্চ ৬৪ বল থেকে বের করে আনতে পারেনি কোনো রান।
এরপর রয়েছে টেবিলের তলানির দিকের দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে কেবল দুইবার জয়ের দেখা মেলা সিলেট চলতি আসরে বল ডট দিয়েছে ৪৩.৭৪ শতাংশ। এক ম্যাচে তারা খেলেছে সর্বোচ্চ ৬২টি ডট বল।
টুর্নামেন্টের সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ডট বলের পরিসংখ্যানটা চোখে পড়ার মতো। তারকা খচিত এই দলটির ব্যাটাররা ৬ ম্যাচে ডট বল খেলেছেন ৪০.১৭৭ শতাংশ। এক ম্যাচে তাদের দেখা মেলা সর্বোচ্চ ডট ৫০টি।
চলতি আসরে ৭ ম্যাচে খুলনা টাইগার্স ডট দিয়েছে ৩৯.৮২ শতাংশ বলে। তবে এক ম্যাচে তাদের চেয়ে ডট বলের দেখা আর কেউ পায়নি। ১২০ বলের খেলার ৭০টি বল তারা ডট দিয়েছিল এক ম্যাচে। চলতি আসরে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডটের নজির এটিই।
আরেক তারকাঠাসা দল ফরচুন বরিশাল তাদের সাত ম্যাচে ডট দিয়েছে ৩৯.৭৭ শতাংশ। ২০ ওভারের খেলার সর্বোচ্চ অর্ধেক ম্যাচই তারা ডট দেওয়ার নজির স্থাপন করেছে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। সাত ম্যাচে তারা ডট দিয়েছে মোট ৩৮.৪৪ শতাংশ বল। আর এক ম্যাচে তাদের দেখা মেলা ডট বলের পরিমাণ ৫৩।
বাংলাবার্তা/এনএ