ছবি: সংগৃহীত
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচেই রান বন্যা বইয়ে দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ছোঁয়ার দিন স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭৩ রানে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে লিটন দাসের দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ব্যাটিংয়ে নেমেই স্বাগতিক চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার উইল জ্যাকস আর লিটন দাস।
৩১ বলে ৬০ রান করে লিটন থামলেও জ্যাকস ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তার ৫৩ বলে ১০৮ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে মঈন আলীর ২৪ বলে ৫৩ রানের টর্নেডোতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৯ রান সগ্রহ করে কুমিল্লা।
২৪০ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেছিলো চট্টগ্রামের দুই ওপেনার। ঝড় তুলেছিলেন জশ ব্রাউন আর তানজিদ হাসান দুজনই। তবে ২৪ বলে ৪১ রান করেই তানজিদ ফিরে গেলে ভাঙ্গে ৭.৩ ওভারে দুজনের ৮০ রানের জুটি। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি ব্রাউনও। ২৩ বলে ৩৬ রানে করেই ফেরেন এই অজি ব্যাটার।
এরপর টম ব্রুস আর শাহাদাত হোসেন দিপুও ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছুঁয়েই। পাঁচ নাম্বারে নেমে সৈকত আলী অবশ্য ঝড়ের গতিতেই শুরু করেছিলেন। তবে মাত্র ১১ বলে ৩৬ রান তুলেই মঈন আলীর বলে ফিরতে হয়েছে তাকে। এরপর চট্টলার অধিনায়ক শুভাগত হোমও ফেরেন ১৩ বলে ১৯ রান করেই। ১৬৫ রানেই সপ্তম উইকেট হারায় বন্দরনগরীর দলটি।
সাগরিকায় এরপরের চিত্রটা ছিলো পুরোটাই মঈন আলীর। ১৭তম অভারে বল করতে এসে প্রথম তিন বলেই তুলে নেন চট্টগ্রামের বাকি তিন উইকেট। নিজের হ্যটট্রিকের সঙ্গে দলকে পাইয়ে দেন ৭৩ রানের বড় এক জয়।
এই নিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতে টেবিল টপার রংপুরের সমান ১২ পয়েন্ট পেলেও রানরেটে পিছিয়ে থেকে টেবিলের দুই নাম্বারেই রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে চট্টগ্রাম।
বার্তাবাংলা/এসএস