মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেট উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হারের রেকর্ডে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার মিশনে যেন নেমেছে দুর্দান্ত ঢাকা। হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না দলটি। পরাজয়ের ধারাবাহিকতা তারা বজায় রেখেছে নামের সাথে মিল রেখেই। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা দেখা পেয়েছে আরও একটি হারের।
নিজেদের দশম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ঢাকাকে হারতে হয়েছে ২৭ রানে। বরিশালের দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫৯ রান তুলতেই থেমে যায় ঢাকার ইনিংসের চাকা। আর সেই সুবাদে ২৭ রানের জয় দিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে তামিমের বরিশাল।
বরিশালের দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংসের চতুর্থ বলেই ঢাকাকে হোঁচট খেতে হয়। ৪ বলে ১০ করে মোহাম্মদ নাঈম সাজঘরের পথ ধরার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাকার ব্যাটিং ধস।
উইকেটের একপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও অপরপ্রান্ত আগলে ধরে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অ্যালেক্স রোজ। কিন্তু বৃথা যায় তার সব প্রচেষ্টা।
অ্যালেক্সের হার না মানা ৪৯ বলে ৮৯ রানের ইনিংসটা কেবল ঢাকার পরাজয়ের ব্যবধান ছাড়া পরিবর্তন আনতে পারেনি আর কোনোই। শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রান তুলতেই থেমে যায় ঢাকার ইনিংসের চাকা।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বরিশালের শুরুটা ছিল দেখার মতো। আহমেদ শেহজাদ ও তামিম ইকবালের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই বরিশাল পায় ৭৬ রানের পুঁজি।
২২ বলে ২৪ করে শেহজাদ বিদায় নিলে ভাঙ্গে সেই জুটি। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। দলীয় ১২৪ রানে থামতে হয় তামিমকে আলাউদ্দিন বাবুর শিকার বনে। মাঠ ছাড়ার আগে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৭১ রান।
তামিমের বিদায়ের পর দলের বাকিদের আর কেউই ইনিংসটা খুব একটা বড় করতে পারেননি। সৌম্য করেন ২৮, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের হার না মানা ৬ বলে ২৩ রানের সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৬ রান তুলতে সক্ষম হয় বরিশাল।
ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নেন আলাউদ্দিন বাবু। তাসকিন আহমেদ নেন দুটি উইকেট আর একটি উইকেট ঝুলিতে যায় শরিফুল ইসলামের।
বাংলাবার্তা/এনএ