সালাহউদ্দিনের কাঠগড়ায় নির্বাচক প্যানেল

আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি ওয়ানডের জন্য দুদিন আগেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এই দল গঠনটা যথাযথভাবে হয়নি বলে মনে করছেন দেশের প্রখ্যাত কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। 

সরাসরি না হলেও আঙ্গুলটা তিনি ঠিকই তুলেছেন নির্বাচকদের দিকে। একজন ক্রিকেটারের কোন দিকটা বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয় সেটি বুঝতে চান দেশ বরেণ্য এই কোচ।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘তারা কী বুঝে দল বানায়, আমি বুঝি না। আপনি যেটা বললেন, সেটাই হতে পারে। হয়তো রান দেখে...ওপরের দিকে অনেক রান করেছে। দলে নিয়ে নিয়েছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু একটা ছেলে যখন ৫ নম্বরে ব্যাট করে, সে ৫০ করবে না। সে ২০ রান করবে। হয়তো ৫ বলে ২০ রান করবে। দল জিতবে না হয় হারবে। ওইভাবে দলটা করলে ভালো হবে।’

শ্রীলঙ্কা সিরিজে ১৫ জনের দলে ডাক পেয়েছেন দেশের স্বীকৃত পাঁচজন ওপেনার। বিপরীতে মিডল অর্ডার দুজন। আর এ বিষয়টাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না সালাহউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল বাংলাদেশ দল দেখলাম। আপনি দলে ৫ জন ওপেনার রাখছেন, মিডল অর্ডারে ২ জন ব্যাটার মনে হয় মাত্র। এর সম্ভবত সবাই মিডল অর্ডারে খেলবে। একটা সুবিধা আছে হয়তো, সব সময় বাংলাদেশ ওপেনিংই করবে, ১৬-১৭ ওভার ওপেন করবে, এটা একটা সুবিধা হতে পারে। তবে ঠিক জায়গায় ঠিক খেলোয়াড় নেওয়াটা খুব জরুরি।’

বেশ কিছুদিন ধরে পাফরম্যান্স দেখিয়ে আসা জাকের হাসানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জাকেরের কথাটা সব সময় আপনারা ভুলে যান, আপনারা কেউ কিন্তু আসলে কখনোই জিজ্ঞাসা করেন না। ছেলেটার হয়তো চেহারা একটু কালো, এই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডও তাকে দেখে না ঠিকমতো।’

‘আপনারা ৬ নম্বর, ৭ নম্বরে প্লেয়ার খোঁজেন। এই ছেলেটা শেষ দুই বছর ধরে খুবই ভালো খেলছে। তার স্ট্রাইক রেট যদি দেখেন সে প্রতিটা দিনই আমাদের গুরত্বপূর্ণ  মুহূর্তে রানটা করে দিচ্ছে এবং সে অনেক বিচক্ষণও। আমার মনে হয় এই ছেলেটাকে সুযোগ দেওয়া উচিত।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয়, এই পজিশনের জন্য সে বাংলাদেশে অন্যতম সেরাদের একজন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরে আমি যদি কোনো ছেলেকে দেখি, তাহলে আমার মনে হয় এই ছেলেটা হচ্ছে সেরা। কারণ, প্রতিদিনই আমাদের দলকে বাঁচাচ্ছে, প্রায়ই একটা ভালো জায়গায় দিয়ে আসছে। খুব সেন্সিবল ব্যাটিং করে। এমন নয় যে তার হাতে শট নেই। সে চারদিকেই মারতে পারে। পেসেও ভালো, স্পিনেও ভালো। তার রেকর্ডও ভালো। এ ধরনের ছেলেকে আসলে সুযোগ দেওয়া উচিত।’