ছবি : সংগৃহীত
‘ড্রিবলিং মাস্টার’ নেইমারের কী ছিল না? গোল করার ক্ষমতা, গোল করানোর ক্ষমতা, ভালো সতীর্থের অনন্য গুনও রয়েছে তার। মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে বাসেলোনায় নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। মাঠে নেইমার থাকা মানেই গ্যালারিতে বাড়তি উন্মাদনা-উল্লাস। এই নেইমারকে নিয়ে কতশত স্বপ্ন বুনেছে ব্রাজিলিয়ানরা এবং সারা বিশ্বে থাকা ব্রাজিল সমর্থকরা। কিন্তু নেইমারকে বরাবরই ডুবিয়েছে ইনজুরি। মাঠে ফেরার দুই সপ্তাহ পরেই আবার ইনজুরিতে ‘ডুব’ দিলেন তিনি।
গত বছর এসিএল ইনজুরিতে পড়ার পর ১ বছর মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। গত মাসেই ফিরলেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। আরো একবার নেইমারের ফেরা উদযাপন করছিলেন ভক্তরা, এমন সময় ফের ইনজুরিতে এই তারকা।
প্রত্যাবর্তনের পর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ফের ছিঁটকে যাওয়ার শঙ্কায় নেইমার। ইস্তেঘাল এফসির বিপক্ষে ম্যাচ শেষ না করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। মাঠে নামার ৩০ মিনিট পরেই উঠে যেতে হয় তাকে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন তিনি। তবে নেইমার হতাশার মাঝেও বড় খবর, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইস্তেঘাল এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আল হিলাল। সার্বিয়ান তারকা আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ করেছেন হ্যাটট্রিক।
নেইমারের ইনজুরিটাই ম্যাচের ফলের চেয়ে অবশ্য বড় হয়ে উঠেছে। ডান পায়ের পেছনের দিকে চোট পেয়েছেন। যন্ত্রণায় শুয়ে পড়েন মাঠে। বাধ্য হয়ে আল হিলালের কোচ তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন। এক বছর পর মাঠে ফিরে দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ৪২ মিনিট খেলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।
জানা গেছে,উরুর মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। এই ইনজুরি কতটা মারাত্মক তা এখনও পরিষ্কার নয়। ফলে মাঠে ফিরতে তার ঠিক কতদিন লাগবে তাও নিশ্চিত নয়। সাধারণ মাংসপেশির চোটে অবশ্য তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্যই মাঠের বাইরে থাকতে হয় খেলোয়াড়দের।
বাংলাবার্তা/এমআর