ছবি : সংগৃহীত
বছরের শেষ ওয়ানডে সিরিজে ভাগ্য বদল হয়নি বাংলাদেশের। ৩২১ রানের বড় সংগ্রহ করেও হারতি হয়েছে লাল-সবুজ বাহিনীর। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সেইন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ৪ উইকেটে।
অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুর চোখ রাঙানিতে ম্লান হয়েছে মিরাজদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের একদিন। সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে চার ফিফটির সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী অনিকের রেকর্ড পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে এনে দেয় ৩২১ রানের বড় এক সংগ্রহ।
ফিল্ডিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২য় ওভারেই ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের সেই ওভারে ১৪ রান এলেও শেষ বলে রানআউট হয়ে যান ব্রেন্ডন কিং। নিজের পরের ওভারেই ফের উইকেটের দেখা পান নাসুম। এবারে বোল্ড করেন অ্যাথানেজকে।
অধিনায়ক শেই হোপ টিকতে পারেননি বেশি সময়। ৩১ রানেই নেই উইন্ডিজদের ৩ উইকেট। ততক্ষণে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশের দর্শকরা।
কিন্তু নবাগত আমির জাঙ্গ সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে দেন। কেসি কার্টি বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে তুলে নিলেন ফিফটি।
দুজনের জুটি যোগ করেছে ১৩২ রান। ম্যাচের ৩৪তম ওভারে রিশাদের প্রথম বলে বাউন্ডারি লাইনে তার সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি পারভেজ ইমন।
পরের বলেই অবশ্য দারুণ এক ক্যাচে কেসি কার্টিকে ফেরান সৌম্য সরকার। বোলার সেই রিশাদই। ৯৫ রানে থামে তার ইনিংস। রস্টন চেজকেও বেশি সময় ক্রিজে থাকতে দেননি রিশাদ। এবার নিজের বলে নিজে অসামান্য এক ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন এই লেগি। গুদাকেশ মোতিকে নিয়ে এরপর শেষটা করেছেন আমির জাঙ্গু।
মোতি নিজেও খেলেছেন নিখুঁত ব্যাটারের মতো। ৩৫ বলেই ৫০ পার করে তাদের জুটি। জাঙ্গু পেয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ৭৯ বল খেলেই স্পর্শ করেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। ৯০ রানের জুটি গড়েছেন গুদাকেশ মোতির সঙ্গে। মোতি অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। ক্যারিবিয়ানরা জয় পায় ৪ উইকেটে।
বাংলাবার্তা/এমআর