ছবি : সংগৃহীত
ছয় বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরজি জিতলো বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হাতে রেখেই টানা দুই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রথমে ব্যাট করে অল্প রানের পুঁজি গড়ায় হারের বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। বোলারদের দাপটে টিকতে পারেনি ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা।
বাংলাদেশ রান করেছিল ১২৯। ক্যারিবীয়দের ১০২ রানে বেশি তুলতে দেয়নি তাসকিনরা। ফলে ২৭ রানের জয় আসে; আর এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০তে সিরিজ নিশ্চিত হয়। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবার কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে সাত রানে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। এ পর্যন্ত দুই বা দুইয়ের বেশি ম্যাচের চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে দুটি সিরিজে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ প্রথমবার সিরিজ জিতেছিল ২০১৮ সালে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বরাবরের মতোই ব্যর্থ হন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১ বলে ০ রানে আউট হওয়ার পর আজ ফেরেন ১০ বলে ৩ রান করে।
লিটনের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ হন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ বলে ২ রান করে রস্টন চেজের বলে বোল্ড হন ব্যাটিংঅর্ডার পরিবর্তন করে এক ধাপ নিচে তিনে নামা বাঁহাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে না পারায় চাপ তৈরি হয় তাদের ওপর। এক পর্যায়ে ঝুঁকি নিয়ে রান নিয়ে গিয়ে স্ট্রাইকপ্রান্তে আউট হন সৌম্য (১৮ বলে ১১)।
দুবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ (২৫ বলে ২৬)। আলজারি জোসেফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ক্যাচ হন তিনি।
একটি চার হাঁকিয়েই ক্যারিবীয় স্পিনার গুদাকেশ মোতির বলে বোল্ড হয়ে যান রিশাদ হোসেন (৪ বলে ৫)। ১২তম ওভারের খেলা চলাকালীন আবারও বৃষ্টি হানা দেয়।
বৃষ্টির বাধা ডিঙিয়ে দ্বিতীয়বার খেলা শুরু হলে ১১ বলে ১১ রান করে মোতির বলে বোল্ড হন শেখ মেহেদী। ২০ বলে ২১ রান করে ওবেদ ম্যাকয়ের বলে লং অনে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ হন জাকের আলী। তারপরই শামীমের সেই দুর্দান্ত ইনিংস। ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার। বহুল প্রয়োজনীয় ইনিংসটি তিনি সাজান ২ চার ও ২ ছক্কায়। ১১ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিম সাকিব।
বাংলাবার্তা/এমআর