
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল ও নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। বুধবার (১২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দেন তিনি। তার এই সিদ্ধান্তে ক্রিকেটাঙ্গনে নেমে এসেছে এক ধরনের শূন্যতা। সতীর্থ, ভক্ত ও বিশ্লেষকরা তার অবদানের কথা স্মরণ করছেন।
২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর তিন ফরম্যাটেই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন মাহমুদউল্লাহ। বিশেষ করে বিশ্বমঞ্চে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে ‘ফিনিশার’ হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়। ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। এছাড়া তার সব ওয়ানডে শতক এসেছে আইসিসির টুর্নামেন্টে, যা তাকে বিশেষ এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
তার বিদায়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন, "এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত। প্রায় দুই দশক ধরে মাহমুদউল্লাহ জাতীয় দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন। কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে পারফর্ম করার দক্ষতা তাকে অমূল্য সম্পদে পরিণত করেছিল। তার লিগাসি আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।"
ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই নীরবে নিজের কাজ করে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। বিতর্ক এড়িয়ে, ব্যাট ও বল হাতে দলের জন্য নিবেদন করে গেছেন। তার এমন ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করে বিসিবি সভাপতি বলেন, "গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পারফর্ম করার বিশেষ সুনাম ছিল তার। ব্যাটিং হোক বা বোলিং, তিনি সবসময়ই দলের বিপদের মুহূর্তে দায়িত্ব নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।"
বিদায়ী বার্তায় ফারুক আহমেদ আরও বলেন, "আমরা মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ ক্যারিয়ারকে উদযাপন করছি এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভবিষ্যতেও তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করবে বলে আমরা আশাবাদী।"
মাহমুদউল্লাহর অবসরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক স্বর্ণালী অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। তবে তার অর্জন ও অবদান চিরকালই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ