
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইল গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ করে চলেছে, কিন্তু বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্ব দেওয়া সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এখনো কোনো প্রতিবাদ শোনা যায়নি। ফিফা ও উয়েফার আচরণে যেন স্পষ্ট—ইসরাইলের বিরুদ্ধে নীরব সম্মতি দিয়ে চলেছে তারা।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মাত্র ৪ দিনের মাথায় রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল এই সংস্থাগুলো। কিন্তু ইসরাইল যখন শত শত শিশুকে হত্যা করছে, তখন সেই একই সংস্থাগুলো যেন চোখ বন্ধ করে রেখেছে।
ফিফার সংবিধানেই বলা আছে, তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে। অথচ গাজার বাস্তবতায় তা প্রমাণিত হয়নি। শুধু তাই নয়, ইসরাইলি ক্লাবগুলো পশ্চিম তীরের দখলকৃত অঞ্চলে নিয়মিত ম্যাচ আয়োজন করলেও ফিফা সেটিকে আইনভঙ্গ মনে করেনি। ২০১৬ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, ‘চুরি করা ভূমিতে ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দিয়ে ফিফা খেলাটিকে কলঙ্কিত করেছে।’
অন্যদিকে, যখন সাধারণ সমর্থকরা গাজায় মানবতা রক্ষায় স্টেডিয়ামে প্রতিবাদ করেছেন, তখন তাদের হেনস্তা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের সময় সেল্টিক ক্লাবের কিছু দর্শক ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করায় উয়েফা বিপুল জরিমানা করে। মানবাধিকার রক্ষার বদলে সেখানে যেন ছিল নিপীড়নের নমুনা।
এই আচরণ কেবল ফুটবলে নয়, অলিম্পিকেও লক্ষ করা গেছে। রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হলেও ইসরাইলি অ্যাথলেটরা আজও স্বাভাবিকভাবে অংশ নিচ্ছেন। কোনো শাস্তি নেই, কোনো প্রতিবাদ নেই।
ফুটবল, অলিম্পিক—এই আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনগুলো কি তবে শুধু ক্ষমতার সেবক? গাজার কান্না কি তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না?
বাংলাবার্তা/এমএইচ