
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি নতুন অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। প্রথমবারের মতো সাদা বলের পূর্ণাঙ্গ টি-টোয়েন্টি সিরিজে একে অপরের মুখোমুখি হবে এই দুই প্রতিবেশী। ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বহুল প্রত্যাশিত সিরিজে থাকবে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর মধ্যে চারটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, বাকি দুটি চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে হবে ১৩ ও 15 আগস্ট ঢাকার মিরপুরে। এরপর তৃতীয় ওয়ানডে ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরু হবে ২০ আগস্ট, দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ঢাকায়। এরপর তৃতীয় এবং সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ আগস্ট চট্টগ্রামে, যেখানে শেষবার ভারতকে বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ ২০২২ সালের এশিয়া কাপ প্রস্তুতি ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ ২৯ ও ৩১ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
এই সিরিজ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শুধু দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেই নয়, বিসিবি থেকেও এই সিরিজকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ সবসময়ই বিশেষ কিছু। এবার প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হচ্ছে। ভারত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে মানদণ্ড স্থাপন করেছে, সেটি আমাদের জন্য একটি পরীক্ষাও বটে। কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী এ সিরিজ উপভোগ করবেন, আমরা নিশ্চিত।”
তবে সিরিজের ভেন্যু নিয়ে কিছুটা বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মিরপুরের পিচ নিয়ে গত কিছুদিন ধরে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ নিজেই অনুরোধ করেছিলেন যেন অন্তত টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো ঢাকার বাইরে আয়োজন করা হয়। তার মতে, ধীর গতির ও কম বাউন্সের পিচ টি-টোয়েন্টির জন্য উপযুক্ত নয়।
এমন বাস্তবতায় সিরিজের চারটি ম্যাচ আবারও মিরপুরে আয়োজন করাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, দর্শকদের জন্য উপভোগ্য এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিতে আরও ভালো ভেন্যু নির্বাচন করা যেত।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং যশস্বী জয়সওয়ালদের মতো তারকায় ভরা ভারতীয় দল ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবে। এই সফরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটে নতুন এক দ্বিপাক্ষিক প্রতিযোগিতার রূপ পেতে যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ